চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ‘জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই নগর। সুপরিকল্পিত নয় শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা। দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু বাসিন্দা পানি আটকে দেন। অবলীলায় ময়লা আবর্জনা ফেলা নালা-নর্দমায়। এতে বৃষ্টি-জোয়ারের পানি নিস্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। এসব কারণে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়টি অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জিং ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বৃহস্পতিবার দুুপুরে নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন। উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে চসিকের অর্থায়ন ও উদ্যোগে গত চার বছরে বাস্তবায়ন করা প্রকল্প, বেসরকারি উদ্যোগে এ ওয়ার্ডে সৌন্দর্যবর্ধনের নানা প্রকল্প, ঐতিহ্য, স্থাপনা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ জন জনতা প্রশ্ন করেন। এর মধ্যে ঘুরেফিরে জলাবদ্ধতা বিষয়টিই প্রধান্য পায়।
চসিক মেয়র বলেন, আমি জনতার মুখোমুখি হয়েছি। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রশ্ন করার জন্য নয়। দলমত নির্বিশেষে নির্ভয়ে প্রশ্ন আশা করছি। আমি চাই ৪১ ওয়ার্ডেই এ অনুষ্ঠান করব। কী করতে পেরেছি, কী করতে পারিনি তা জানতে এ আয়োজন।’
নগর পিতা বলেন, নিরাপদ, বাসযোগ্য, পরিস্কার ও সবুজ নগরী ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এ কাজে নগরবাসীকে আমাদের সঙ্গে পেতে চাই। জোর করে চাপিয়ে দিলে উন্নয়ন টেকসই হয় না। তাই ধীরগতিতে এগোচ্ছি আমরা। আমার প্রত্যাশা উন্নত দেশের সমৃদ্ধ নগরের মতো চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা, এবং এটি বাস্তবায়ন সম্ভব। যৌক্তিক সময়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চসিক নিয়মিত ওষুধ ছিটানো, ডোর টু ডোর ময়লা সংগ্রহ এবং রাতে ময়লা অপসারণ করায় অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে মশা কম, ডেঙ্গুর প্রকোপও কম। ফগার ও হ্যান্ড স্প্রে মেশিনে ১৬১ জন ওষুধ ছিটাচ্ছেন। ডাক্তারদের সচেতন করেছি। নগরবাসীকে বিজ্ঞপ্তি, প্রচারপত্র দিয়ে সচেতন করছি। ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ যদি চিকিৎসা করাতে অপারগতা জানান তবে আমরা দায়িত্ব নেব।’
স্বাগত বক্তব্যে জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, মেয়র ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্লিন ও গ্রিন সিটির। সেই লক্ষ্যে জামালখান ওয়ার্ডকে স্বপ্নের মতো সাজানোর চেষ্টা করছি। সাধ ও সাধ্যের ব্যবধান ছিল। আমাদের আরেকটি বছর হাতে আছে। বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা চাই। এ আয়োজন আপনাদের মতামত নিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর জন্য।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার