চট্টগ্রামে যত্রতত্র মাদকের বিস্তার ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক চোরাকারবারিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। মাদকের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে মাদক উদ্ধারে এবং জড়িতদের গ্রেফতারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের দায়িত্ব কর্তারা নানাভাবে অভিযানও অব্যাহত রেখেছেন।
মাদক নিয়ন্ত্রণে হার্ডলাইনে প্রশাসনের কর্তারা পৃথকভাবে চট্টগ্রামের মেট্টো এলাকায় এক বছর ও বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখায় ৭ মাসে ১ হাজার ১৪০ আসামী গ্রেফতার হয়েছে। তাছাড়া মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬৪টি। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা, গাজাঁ, ফেনসিডিল, নগদ অর্থ ও মদ বোঝাই প্রাইভেটকারও।
অন্যদিকে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দেয়া আদেশে দেশে অবৈধ মাদকের প্রবাহ রোধ, ঔষধসহ অবৈধভাবে ব্যবসা বন্ধ করতে নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজও করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মাদক উদ্ধারে বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার, মামলাও করা হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি ডাইরেক্টর একেএম শওকত ইসলাম।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নানা কৌশলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে মাদক প্রবেশ করলেও মাদক উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ১৬৬ জন আসামি। মামলা হয়েছে ১৪৪টি, ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ৫০ হাজারের উপরে। তাছাড়া চোলাইমদসহ অন্যান্য মাদকও রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম মেট্টো অঞ্চলের জুলাই-১৮ থেকে জুন-১৯ সাল পযর্ন্ত মাদক মামলায় আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৭৪ জন। অভিযান হয়েছে ৩ হাজার ৫শ' ৮১ টি। মামলা হয়েছে ৯২০টি। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, নগদ অর্থ ও প্রাইভেটকার বোঝাই মদ। এতে ইয়াবা ৪ লাখ ৮৭ হাজার, ৫৪৪ পিস, গাঁজা ১০৫.২৮৬ কেজি, বিলাতীমদ ১৪৯ বোতল, ফেনসিডিল-১৫১ বোতল, চোলাইমদ-৭৬৭.৫০০ লিটার, সিএনজি-১টি, নগদ টাকা ১ লাখ ২৬ হাজার, ৫০০ টাকা এবং একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের এডিশনাল ডাইরেক্টর মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, মাদকের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সেখানে এসব অবৈধ ব্যবসাসহ নানাভাবে জড়িত আছেন, তাদের গ্রেফতারে প্রশাসন সবসসময় কাজ করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামেও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্তারা অভিযানও অব্যাহত রেখেছে। তবে মাদক নির্মূলে সবাই এক ও অভিন্ন হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল