সাধারণত নগরের ৩ নং রুটের গাড়িগুলো নিউ মার্কেট থেকে মুরাদপুর- অক্সিজেন হয়ে ফতেয়াবাদ যাওয়ার কথা। কিন্তু তারা নিয়ম না মেনে নিউ মার্কেট থেকে ছেড়ে এসে মুরাদপুর পর্যন্ত এসে যাত্রী নামিয়ে দেয়। অন্যদিকে ১ নং ও ১০ নং রুটের বাস কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা যাওয়ার কথা থাকলেও গন্তব্যে যাচ্ছে না। এ দুই রুটের যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে অক্সিজেন ও বহদ্দারহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক। অভিযানে ৯টি বাসকে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, ৩ নং রুটের অনেক বাস ফতেয়াবাদ না গিয়ে অক্সিজেন থেকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। ১নং ও ১০ নং রুটের অনেক বাস কালুরঘাট না গিয়ে বহদ্দারহাট থেকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। ফলে এ রুটের যাত্রীরা চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অক্সিজেন থেকে ফতেয়াবাদের যাত্রীরা এবং বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট এর যাত্রীরা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাচ্ছেন না।
বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বলেন, ‘নগরীর একাধিক রুটের গণপরিবহনের পারমিট নিয়ে দুপুরের পর থেকে ইপিজেড’র গার্মেন্টসের রিজার্ভ ভাড়ায় চলে যায়। ফলে, দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন রুটে সড়কে বাসের সংখ্যা খুবই কমে যায়। নগরবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়ে। অফিস ফেরত যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পান না। আজ এসব বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে ৯টি বাসকে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বাস মালিক ও শ্রমিকরা নানাভাবে আইন লঙ্ঘন করে যাত্রীদের হয়রানি করছে। এটা অন্যায়। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। রুট কমপ্লিট না করে মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেয়া, এক রুটের বাস অন্য রুটে চলা এবং গণপরিবহনের পারমিট নিয়ে গার্মেন্টসের রিজার্ভ ভাড়া মারার মত অপরাধ করে থাকে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার