দীর্ঘদিন বন্ধের পর চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গণপরিবহন চালু হয়েছে সীমিত আকারে। এ সময়ে সচেতনতার জন্য যাত্রীসহ চালক-সহকারী সবার মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, মাথায় স্কার্ফও নিয়মিত পড়ছেন। কেউ কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বের করেও হাত জীবাণুমুক্ত করে নিচ্ছেন। চালকের পাশাপাশি যাত্রীরা সচেতনভাবেই চলাচল শুরু করেছেন। প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে মাইক লাগিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। চালক ও সহকারীদের মাস্ক ব্যবহারের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সোমবার গণপরিবহন চলাচলের ২য় দিনে যাত্রীরা সচেতনভাবেই চলাচল করতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ৭০ ভাগ গণপরিবহন সড়কে নেমেছে। বাকি ৩০ ভাগ গাড়ির চালক, সহকারীরা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার পর এখনো না ফিরলেও আস্তে আস্তে বাড়ছে মানুষ। নগরীতে ১ হাজার ১৫০ থেকে ১২শ বাস, দেড় হাজার হিউম্যান হলার ও ১ হাজার ৭০০ টেম্পু চলাচল করে। প্রতিটি কাউন্টারেই শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। কিছু কিছু যাত্রী, চালক ও সহকারীর অসচেতনতা মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে। তবে প্রশাসনও কঠোরভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানার বিষয়টি তদারকি করছেন বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, ৪০ আসনের বাসে ২০ জন, ৩৫ আসনের বাসে ১৬ জন যাত্রী তুলছি আমরা। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আগে ভাড়া ছিলো ১৯০ টাকা এখন নিচ্ছি ৩০০ টাকা। নিউমার্কেট থেকে হাটহাজারী ৩০ টাকার ভাড়ার জায়গায় এখন নিচ্ছি ৫০ টাকা। ৬০ শতাংশের বেশি ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
এস আলম বাস সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে চট্টগ্রাম থেকে পটিয়া ৮০ টাকা, চকরিয়া ২৮০ টাকা, পেকুয়া ২৪০ টাকা, টইটং ২২০ টাকা, মগনামা ২৫০ টাকা ও কক্সবাজার ৪০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লভস ছাড়া যাত্রীদের বাসে তোলা হচ্ছে না। প্রতি ট্রিপের আগে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। কাউন্টারের বাইরে যাত্রীদের হাত ধোয়ার জন্য পানি ও সাবানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া ভাড়া বাড়ানোর কারণে যাত্রীদের সঙ্গে চালক ও সহকারীর বাগবিতন্ড হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার