চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথক হাসপাতালে তারা মারা যান।
জানা যায়, চমেক হাসপাতালের ইর্মাজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মুহিত হাসানের গত ২৬ মে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওইদিনই তিনি হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বুধবার তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত দুইজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। এছাড়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয় আরও একজন চিকিৎসকের।
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, ‘ডা. মুহিত হাসান আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
এদিকে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই নারীর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী নারী বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা এবং নগরীর জামালখান এলাকার বাসিন্দা ৫৬ বছর বয়সী নারী সকাল ৭টার দিকে মারা গেছেন।
জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়ার কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব বলেন, ‘৫০ বছর বয়সী নারী ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপেও আক্রান্ত ছিলেন। অপর নারীও উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপার টেনশনে ভুগছিলেন। দু’জনই আইসিইউতে ছিলেন।’ অন্যদিকে, করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম এবং সকাল ৯টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. রফিকুল আলম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল