৪ জুন, ২০২০ ১৯:০৫

চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসা খাতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে বিভাগীয় প্রশাসন। রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গঠিত সার্ভিল্যান্স টিম ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে নোটিশ দিয়েছে। তাছাড়া পুনর্গঠন করা হয়েছে সার্ভিল্যান্স কমিটি।  

জানা যায়, সার্ভিল্যান্স টিম বুধবার নগরীর ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে চিঠি প্রদান করে। চিঠিতে সেসব প্রতিষ্ঠানে দৈনিক কত রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তার তথ্য চাওয়া হয়। তাছাড়া হাসপাতালে বা ক্লিনিকে কত রোগী দৈনিক সেবা নিতে আসেন, এর মধ্যে কতজন সাধারণ ও কতজনের  কোভিড-১৯-এর উপসর্গ আছে, কতজনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে, কাউকে  সেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছি কিনা, দিলে তার কারণ এবং হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যা— এসব তথ্যও চাওয়া হয়েছে। এছাড়া কমিটি থেকে বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে বাদ দিয়ে সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খানকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে নানা সমালোচনার পরও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী কমিটিতে বহাল আছেন।

সার্ভিল্যান্স টিমের আহ্বায়ক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘চিকিৎসা খাতে চট্টগ্রামে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ শুরু করেছি। মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এরই মধ্যে ২০টি হাসপাতালকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিদিনই তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া টিমও পুনর্গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে। কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। আমাদের কথা হলো কাউকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর