চট্টগ্রামে ওষুধের মূল্য নিয়ে রীতিমত ডাকাতি করা ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন। রবিবার বিকাল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ওষুধের পাইকারি বাজার খ্যাত হাজারি গলিতে জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন। একদিনের অভিযানেই ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য, সংকট সৃষ্টি, ফার্মাসিস্টের সার্টিফিকেট না থাকা, নিবন্ধনহীন ওষুধ রাখা, বিদেশী অবৈধ ওষুধ রাখা, ওষুধের মূল্য কর্তন করা, নকল পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার অভিযোগে ২৯ ফার্মেসির মালিককে ১০ লাখ ৯৩ টাকা জরিমানা, ৩০টি মামলা দায়ের ও ১৫ লাখ টাকার ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক, শিরিন আক্তার, এস এম আলমগীর হোসেন ও গালিব চৌধুরী। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান, কামরুল হাসানসহ র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘করোনা প্রকোপের পর থেকেই ওষুধের চাহিদাকে পুঁজি করে ফার্মেসিগুলো কয়েকগুণ বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগ করে আসছেন ক্রেতারা। তাই চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক সঙ্গে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অতিরিক্ত ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য নেয়া, কৃত্রিম সংকট তৈরি, সনদ ছাড়াই ফার্মাসিস্ট থাকা, নিবন্ধনহীন ওষুধ রাখা, বিদেশী অবৈধ ওষুধ রাখা, নকল পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার দায়ে ২৯ ফার্মেসির মালিককে ১০ লাখ ৯৩ টাকা জরিমানা এবং ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
জানা যায়, হাজারী গলির অভিযানে এনাম মেডিকেলকে ৫০ হাজার টাকা, মেমোরি ড্রাগ হাউসকে ৫০ হাজার, নিউ চট্টলা মেডিকেলকে ৫০ হাজার টাকা, সবুজ ফার্মেসীকে ৪০ হাজার টাকা, সন্ধ্যা ড্রাগ হাউসকে ৪০ হাজার টাকা, গোপাল মেডিকেলকে ৩০ হাজার টাকা, যমুনা মেডিকেলকে ৩০ হাজার টাকা, আনিকা ড্রাগ হাউসকে ৩০ হাজার টাকা, ভাই ভাই ট্রেডার্সকে ১৮ হাজার টাকা এবং চট্টশালা এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে গত ৫ ও ৬ জুন কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও র্যাব হাজারী গলি ও পতেঙ্গা-ইপিজেড অভিযান চালিয়ে ৪ জন ফার্মেসি মালিকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল