আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরে নগরীর খাতুনগঞ্জে মসলার দাম বৃদ্ধির কারণে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় বেশি দামে মসলা বিক্রি, মুল্য তালিকায় হেরফের ও ঘষামাজা করার কারণে ৪ ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড করা হয়। খাতুনগঞ্জের মেসার্স নারায়ণ ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, খাতুনগঞ্জে বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায় কয়েকজন আড়তদারের টাঙিয়ে রাখা বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে তাদের ক্রয় মূল্যে অনেক পার্থক্য। যেমন ২৪১০ টাকার এলাচি ৩৬০০ টাকার উপরে বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আবার অনেক ব্যবসায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাটানো মূল্য তালিকায় কাটাছেঁড়া করে কমিয়ে রাখেন, যা তাৎক্ষণিক নজরে আসে। দেখা যায় ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০-৪০০ টাকা, গোল মরিচ ৪২০ টাক থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত, লবঙ্গ ৬৮০ টাকা, ২৭৫ টাকার জিরা ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করতে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আসায় তারা দাম অনেক কমিয়ে লিখে রাখেন যা হাতেনাতে ধরা পড়ে।
জানা গেছে, প্রতিবারের মত এবারও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কুরবানির ঈদ কে সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাই বাজার মনিটরিংয়ের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/ফারুক তাহের