প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর মা মাছ ও জীববৈচিত্রের অনুপম অনুষঙ্গ ডলফিন রক্ষায় কাজ করবেন ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক। হালদা নদীর চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা এলাকা থেকে নিয়োগকৃত ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক এখন থেকে নদীটি পাহারা দেবেন।
দুপুরে হালদা নদীর গড়দুয়ারা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের মা মাছ ও ডলফিন রক্ষার শপথ পাঠ করানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া এ শপথ পাঠপূর্বক প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদা এলাকার চেয়ারম্যান-ইউপি সদস্য ও মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়। তারা মৎস্য প্রজনন এলাকার প্রায় ৩০ কিলোমিটার নদী পাহারা দিবেন। এ ব্যাপারে শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। আশার কথা হলো- নিয়োগকৃতরা সকলেই তরুণ এবং হালদা রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ বলেই মনে হয়েছে। আমরা চাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হালদা নদীর মা মাছ ও ডলফিন নিরাপদ থাকুক।’
জানা যায়, হালদা নদীতে মা মাছ নিধন ও ডলফিন মৃত্যু নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরে মারা যায় ২৮টি ডলফিন। যখনই অভিযান পরিচালিত হয় তখনই কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। গত দুই বছরে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন হাটহাজারী গভীর রাত ও দিনে ১৪০টি অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ধ্বংস করা হয় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৯টি ড্রেজার ও ২৭টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, কারাদণ্ড দেওয়া হয় ৩ জনকে। তবুও লোভাতুর কিছু অসাধু মানুষের শকুনি দৃষ্টি থামছেই না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার