করোনা মহামারীর সময় ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ২০৬৫ জনের দাফন ও সৎকার করে। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রামে ১৬৬৭ জনের দাফন ও সৎকার করা হয়। এর মধ্যে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২৫ জন হিন্দু, ৩ জন বৌদ্ধ ও ১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ। গাউসিয়া কমিটির নিবেদিন প্রাণ স্বেচ্ছাসেবীরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে গাউছিয়া কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনজুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার, কেন্দ্রীয় অর্থসচিব কমরুদ্দিন সবুর, করোনাকালীন রোগী সেবা ও কাফন-দাফন কর্মসুচির সদস্য অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, এরশাদ খতিবী ও শাহাদাত হোসেন রুমেল প্রমুখ।
সংবাদ সন্মেলন শেষে করোনা মহামারীতে মৃতদের আত্মার মাগফিরাত ও আক্রান্তদের আশু সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, মৃতের লাশ দাফন-সৎকারের পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত ১২ হাজার ৫৫০ জন রোগীকে অক্সিজেন সেবা, চারটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বিনা ফিতে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন রোগী পরিবহন, অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সড়ক ও বাড়ি থেকে এনে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণসহ ১১ হাজারের বেশি মানুষকে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। তাছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর ৬টি স্পটে ভ্রম্যমাণ গাড়িতে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর আগে করোনার প্রথম দিকে দেশের একলাখ অসহায় পরিবারকে খাদ্য সামগ্রি দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। গাউসিয়া কমিটির এ সেবা কার্যক্রমে যারা অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার, সুরক্ষা সামগ্রি, নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। গাউসিয়া কমিটির এ সেবা কার্যক্রম আগামীতে আরও সম্প্রসারণ এবং যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার