চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও সন্দ্বীপ উপকূলীয় এলাকার ফসলি জমিতে প্রবেশ করেছে বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত পানি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের পানি উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করে। লবণাক্ত পানির কারণে সাধারণ ফসল উৎপাদনের অন্তরায় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এ তিন উপকূলীয় উপজেলায় কী পরিমাণ জমিতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে তা এখনও নির্ণয় করা হয়নি।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বলছে, চট্টগ্রামে ইয়াসের কারণে উল্লেখ করার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিন উপজেলার ১০-১৫টি ইউনিয়নে জোয়ারের উপচেপড়া পানি প্রবেশ করেছে। এতে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানির স্রোতে চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা আনোয়ারা ও বাঁশখালী বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যায়। তাছাড়া বাঁধের ব্লকের ফাঁকে ফাঁকে উপচেপড়া ঢেউয়ের পানি প্রবেশ করে উপকূলবর্তী এলাকায়। গত বুধবার প্রবল জোয়ারের স্রোতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে। লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডি, রায়পুর, বারশত বারখাইন, পরইখোড়া, চাতরী ও সদর ইউনিয়নের ফসলি জমিতে। তাছাড়া বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ছেমটখালী, কোনাকালী, আবাখালী, ছোট ছনুয়া ও গÐামারা, বাহাড়ছড়া, সরল খানখানাবাদ ইউনিয়নে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ফসলি জমিতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে। এ কারণে অন্তত আগামী দুই বছর এসব ফসলি জমি উৎপাদন ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে সাগরের জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। তবে ব্যাপক আকারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবু জেলা প্রশাসন উপজেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী ইতোমধ্যে পৌঁছে দিয়েছে। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োজন মতে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার