১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৪

চট্টগ্রামে কমেনি সবজির দাম

বেড়েছে ডিম ও মাছের দাম

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কমেনি সবজির দাম

শীত বাড়ছে দিন দিন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত কাঁচা বাজারগুলোতে সাধারণ ক্রেতাদের আনা-গোনা নেই বললেই চলে। তারপরও সবজির দাম আগের মতোই রয়ে গেছে। সবজির দাম তেমন না কমায় এবং করোনা পরিস্থিতি আবারও বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বন্ধের দিন শুক্রবার বাজারেও তেমন দেখা যায়নি ক্রেতাদের।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সূত্রে জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতি এবং শীতের সবজির সরবরাহে চট্টগ্রামে তেমন ঘাটতি না থাকলেও বাড়তে থাকা দাম কমানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখানে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম না কমলেও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর কর্ণফূলী মার্কেট, চকবাজার, কাজীর দেউড়ী কাঁচাবাজার, বকশির হাট ও বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, কাঁচা বাজারে এখনো দাম কমছে না। গত দুই-তিন দিন আগে যেই সবজি ৩০ টাকায় কিনেছিলাম, সেটি আজ শুক্রবার ৩৫ টাকায় কিনেছি। অন্য বাজারগুলোর অবস্থাও একই রকমের। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে আগের মতো বাজারে তেমন ক্রেতাদেরও দেখা যাচ্ছে না।

চকবাজারে আসা সবুজ নামে একজন ক্রেতা বলেন, কাঁচা বাজারে আগুন ধরেছে মনে হচ্ছে। শীতের সবজিতে দাম একটু কমানোর কথা, সেখানে দাম আগের মতোই আছে। তবে এখানে গত সপ্তাহে কেনা ডিমের দামের সঙ্গে আজ মিল নেই। ডজনপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। করোনার কারণে এক সপ্তাহের বাজার একসঙ্গে করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বাজার সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে সবজির দাম গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু কাঁচা বাজারের দাম আরো বেড়েছে। প্রতিকেজি টমেটো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ও বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ২৮ থেকে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া নতুন করে এ সপ্তাহে বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১০৫ টাকায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হলেও এখন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা, লেয়ার ২৩৫, সোনালী ২৭০ থেকে ৩০০ ও দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট ৫৯ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পারিজা ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, নাজিরশাইল ৬৪ টাকা, বাসমতি ৬৯ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মাছের দাম বাড়তি রয়েছে। প্রতি  কেজি রুই-কাতলা ২৭০ থেকে ৩১০ টাকা, শোল ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ও টাকি ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর