চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার এক শতাংশের নিচে নেমে আসছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। চট্টগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে পরীক্ষার তুলনায় আক্রান্তের হার কম। পক্ষান্তরে কমছে মৃত্যুও। গত ১১ দিন চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনাও নেই। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে একদিনেই প্রায় ৪০ শতাংশ আক্রান্ত হয় এবং একদিনে চারজনও মারা গেছেন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি ১৭টি ল্যাবে মোট ১ হাজার ৫৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ১৪ জনের। গত শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ১৪৬ জন। এর মধ্যে করোন শনাক্ত হয় ৪৬ জনের। গত বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে করোন শনাক্ত হয় ৫২ জনের। গত বুধবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ১৪৬ জন। এর মধ্যে করোন শনাক্ত হয় ৩৫ জনের। গত মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ২৫১ জন। এর মধ্যে করোন শনাক্ত হয় ৭৮ জনের।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, সবাই আগ্রহ ভরে টিকা নিচ্ছে। এখন চট্টগ্রামের ৭০ শতাংশ মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতাও বাড়ছে। ফলে সংক্রমণ কমে আসছে। আমাদের এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
এভার কেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. সায়মা সাদিয়া বলেন, বর্তমানে করোনার সংক্রমণ কমছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণের সংক্রমণও কমছে। এটি সুখের খবর। আমাদের সবার দৈনন্দিন অভ্যাস, সরকারি নির্দেশনা এবং সচেতনতায় এই কমার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭১ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৯১ হাজার ৯০৪ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৪৮৭ জন। ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৩৬২ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭৩৪ জন এবং উপজেলায় ৬২৮ জন। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ১৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে। চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল। চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল।
বিডি প্রতিদিন/এএম