চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেছেন, গ্লুকোমা চোখের নীরব ঘাতক। মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ গ্লুকোমা, যা অন্ধত্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। এ রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। একবার দৃষ্টিসীমা কিছুটা নষ্ট হলে সেটুকু আর ফিরে পাওয়া যায় না। নীরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলেই গ্লুকোমাকে নীরব ঘাতক বা ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়।
সোমবার সকালে ‘বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ-২০২২’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে পাহাড়তলীস্থ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. কামরুল ইসলাম, আইসিও এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. জেসমিন আহমেদ, কনসালটেন্ট ডা. সুজিত কুমার বিশ্বাস, এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. তনিমা রায়, ডা. সাজ্জাদ হোসেন খান, ডা. কাজী তাহমিনা আক্তার, ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ডা. সোমা রানী রায়, ডা. মেরাজুল ইসলাম, ডা. সুইটি বড়ুয়া,ডা. অপরাজিতা রায়হান, ডা. শেলী বিশ্বাস, ডা.সূবর্ণা সুলতানা, ডা. মৌসমী চৌধুরী, ডা. সাজ্জাদ কাদেরসহ চিকিৎসক ও অপটোমেট্টির শিক্ষার্থীবৃন্দ। এর আগে মরান সেমিনার হলে চোখের গ্লুকোমা নির্ণয় ও প্রতিরোধের বিষয়ক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. উম্মে সালমা আকবর। বক্তব্য রাখেন, অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ চট্টগ্রামের প্রতিনিধি ডা. এম এ করিম, ডা. মান্নান সিকদার, ডা. মর্তুজা নুরুদ্দীন, ডা. ওয়াহিদ আলম, প্রফেসর প্রকাশ কুমার চৌধুরী, ডা. উৎপল সেন প্রমূখ।
অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, গ্লুকোমা রোগে দৃষ্টির যে ক্ষতি হয়, তা কখনো ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেলে রোগী অন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। গ্লুকোমা রোগ সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। চল্লিশোর্ধ্বদের উচিত চোখের যেকোন উপসর্গের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
বিডি প্রতিদিন/এএম