চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্সিজেন ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে হাসপাতালের সভা কক্ষে আয়োজিত ‘হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান সবাইকে এ পরামর্শ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অংসু প্রু মারমা, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজিব পালিত, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও বাজেট) ডা. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক ডা. আবদুল মান্নান, সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. হুমায়ুন কবির, সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোছা. ইনসাফি হান্নাসহ নার্সিং সুপারভাইজাররা, বিএনএ নেতৃবৃন্দ ও সকল ওয়ার্ডের ইনচার্জ।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, হাসপাতালে কর্মরতদের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে অক্সিজেন ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে সাশ্রয়ী হতে হবে। কোনো মতেই যেন অক্সিজেন বা বিদ্যুৎ অপচয় না হয়। প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ ব্যাপারে আন্তরিক হলে চলমান সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, চমেক হাসপাতালে নার্সিং কর্মকর্তারা উদ্ভূত সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। বিএম কনটেইনার বিস্ফোরণের ঘটনায় তারা সেটি প্রমাণ করেছেন। আগামীতে তারা আরও বেশি দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। একই সঙ্গে পেশেন্ট ডাটা অ্যান্ট্রিতে সারা দেশের মধ্যে চমেক হাসপাতাল প্রথম স্থান অর্জন করায় নার্সদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, রোগী অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী সবার সঙ্গে পরস্পর সুসম্পর্ক বৃদ্ধি পেলে সেবার মান আরও বাড়বে।
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অং সুং মারমা বলেন, সরকারি বিধিমালা কাজ করলে সর্বত্র শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। সবাই নিয়ম মেনে কাজ করলে রোগীর সেবাও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে।
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোছা. ইনসাফি হান্না বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ভালো অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আর ভাল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে হাসপাতালের মান ও সুনাম বৃদ্ধি পাবে, রোগীর সেবাও বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে সফলও হওয়া যায়। আমরাও চাই রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই