‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’র সহসাই চালু করতে নানা প্রস্তুতিসহ ট্রায়াল দিয়েছেন রেলওয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার এই রেল জাদুঘর’টি জয়দেবপুর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রায়াল দেয়া হয়। ট্রায়ালের জন্য এটি জয়দেবপুর-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন আসা-যাওয়া করেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ এপ্রিল রেলওয়ের এই যাদুঘর কার্যক্রমটি উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের চীফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (সিএমই) মো. বোরহান উদ্দিন, রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শাকের আহমেদ, শেখ ফরিদ, মেকানিক্যাল বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সাজিদ হাসান নির্ঝর, রাসেল আলম, রাশেদ লতিফসহ বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা স্ব স্ব স্থানে উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রেলওয়ের দুটি অঞ্চলের জন্য দুইটি করে কোচ দিয়ে যাদুঘরের সেট তৈরি করা হয়েছে। মিটারগেজ রেল যাদুঘরটি পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন স্টেশন ভ্রমণ করবে। অপর দিকে ব্রেডগেজের নির্মিত রেল যাদুঘর শুধুমাত্র পশ্চিমাঞ্চলের স্টেশনগুলো ভ্রমণ করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-অপা.) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কর্ম দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে রেল যাদুঘর কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে একটি নিবিড় পরিকল্পনার প্রয়োজন। এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বৈঠকের মাধ্যমে শিডিউল ও নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। কমিটির শিডিউল দেশের সংশ্লিষ্ট ও সম্ভাব্য সবগুলো স্টেশনে পাঠানোর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে যাদুঘর দুটি চালু করা হবে।
জানা গেছে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতার জীবন আলেখ্য গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর চালু করতে যাচ্ছে। গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী রেলের এই যাদুঘর কার্যক্রমটি উদ্বোধন করেন। তবে দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধু রেল যাদুঘর পরিচালনা করতে শিডিউল ও বিশেষ নির্দেশনা প্রণয়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শিডিউল ও নির্দেশনা প্রণয়ন শেষে দ্রুত যাদুঘরটির কার্যক্রম চালু করা হবে। আরো জানা গেছে, রেলের ইতিহাসে এই প্রথম ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নামে নির্মিত জাদুঘরটির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ তা অবলোকন করার সুযোগ পাবে। রেলের ইতিহাসে নতুন এক নাম। একটি ব্রডগেজ ও একটি মিটারগেজ কোচকে সাজানো হয়েছে অভিন্ন সাজে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ নামের জাদুঘরটিতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামী ঘটনাট প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ দর্শনার্থীরা টাচ স্কিনে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসবে, বঙ্গবন্ধু ছবি, ভাষণ, জীবনাচারের বিভিন্ন বিষয়। শুধু বড় রেলওয়ে স্টেশন নয়, দেশের সবকটি রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত দিন ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি দাঁড়ানো থাকবে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের জন্য এটি উন্মুক্ত রাখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল