চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানাধীন মেহেদীবাগ এলাকার দারুস সুফাত তাহফিজুল কোরান মাদ্রাসার টয়লেট থেকে সাবিব সায়েন (১০) নামে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার রাত দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সাবিব শায়েন কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার মনোহরগঞ্জের বিনঘর এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান চৌধুরীর দ্বিতীয় সন্তান। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সাবিব দ্বিতীয়। বাবা-মায়ের সঙ্গে সে নগরীর দামপাড়া এলাকায় বসবাস করতো। পিতা মশিউর রহমান চৌধুরী মিল্টন একজন গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর বাগমনিরাম মসজিদে প্রথম জানাজা এবং কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে এশারের নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের বাবা মশিউর রহমান চৌধুরী মিল্টন বলেন, প্রতিদিন সকাল নয়টায় আমি সাবিবকে মাদ্রাসায় দিয়ে যাই, রাত নয়টার দিকে বাসায় নিয়ে আসি। গত সোমবার মাদ্রাসার নিচে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও দেখি সে আসছে না। এর মধ্যে কয়েকজন ছাত্র এসে আমাকে উপরে যেতে বলে। মাদ্রাসা পাঁচ তলায়, উপরে অর্ধেক উঠার পর দেখি আমার ছেলেকে ধরাধরি করে ছেলেরা নামাচ্ছে। ওখান থেকে আমিই তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখনকার চিকিৎসক বলছে, আর কোনো আশা নেই। পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎস মৃত ঘোষণা করেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার চাই।
চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, ওই শিশুটি মাদ্রাসার বাথরুমে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। নিহতের গলায় একটি চিহ্ন আছে। সাবিবের পিতার লিখিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমরা একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আগামীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম