১৭ মার্চ, ২০২৩ ২৩:০২

রমজানের আগেই বাড়ছে পিয়াজের ঝাঁজ, সবজির বাজারও চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

রমজানের আগেই বাড়ছে পিয়াজের ঝাঁজ, সবজির বাজারও চড়া

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে কয়েক সপ্তাহ স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে পিয়াজের দাম। পিয়াজ আমদানি কমে যাওয়ার কারণে দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও বাজারে আসা গ্রীষ্মকালীন সবজির দামও বেশ চড়া। এখন থেকে বাড়তে শুরু করেছে রমজানে ব্যবহৃত বেগুন, লেবুসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

জানা যায়, গত তিনদিনে পাইকারিতে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৪ টাকা। ভারতীয় পিয়াজ মানভেদে পাইকারী বাজারে ২৪ থেকে ২৬ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে ৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিয়াজ আসার পরিমাণ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বহদ্দারহাট-বাদুরতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ভোজ্যতেল প্রতি মণে ২শ’ টাকা করে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় পরিশোধন ব্যয়ও বেড়েছে। তাই আমদানিকারকরা আমাদের যে দামে তেল সরবরাহ করছেন, আমরা সে দামেই বিক্রি করছি। সামনে রোজার শুরুতে নকল পণ্যের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমজান। এ রমজানে বেগুন, ছোলা, ডাল, মরিচ, লেবুসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের চাহিদা থাকে বেশি। আর এ সময়টাকে পুঁজি করে এখন থেকে বাড়তে শুরু করেছে এসব পণ্যের দাম। রমজান আসার আগেই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে পাইকারী বাজারে ৮৫ টাকা আর খুচরায় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১শ’ টাকায়। দেশি মসুর ডালের কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, খেসারির ডালে ৪ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেজুর প্রকারভেদে ১৮০-৫শ’ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, গাজর ও শসা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন ৫০-৬০ টাকা, লেবুর মান ভেদে প্রতি হালি ৪০-৬০ টাকা।

এদিকে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ঢেঁড়শ ও তিত করলা ১১০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ১২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ও বাঁধাকপি ৩০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৩০ টাকা, টমেটো ও আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি, বেগুন ও শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতিকেজি রুই ২৮০, কাতলা ৩০০, তেলাপিয়া ২২০, লইট্যা ২২০, পাঙ্গাস ২০০, পাবদা ৫৫০, পোয়া ৪০০, শোল ৮০০, চিংড়ি ১০০০-৮০০ ও শিং মাছ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়। এছাড়া হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ ও হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১শ’ টাকায়। তাছাড়া মাছের বাজারে ফেরেনি স্বস্তি। বাজারে প্রতিকেজি রুই ২৮০, কাতলা ৩শ’, তেলাপিয়া ২শ’, লইট্যা ১৬০, পাঙ্গাস ১৪০, পাবদা ৫৫০, পোয়া ১৮০, শোল ৪৮০, চিংড়ি ৬শ’ ও শিং মাছ ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর