দশ বছর আগে মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন পটিয়ার তিলক শীল। এ ঘটনার ছয় জন গ্রেফতার হয়ে হাজতবাসও করেন। মামলার প্রতিবেদন দেয়ার পর আদালতে বিচার কার্যও শুরু হয়। কথিত ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য বাদী আদালতে আবেদন করলে উদ্ধারের দায়িত্ব পায় পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো। আদেশ পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে গিয়ে পিবিআই জানতে পারে রূপা শীল অপহরণ নয়, বরং পালিয়ে গেছেন এক ছেলের সাথে। তার পরিবার এটাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে করেন মামলা। অতপর গত শুক্রবার নোয়াখালীর সুধারাম থেকে রূপাকে উদ্ধারের পর উম্মোচন হয় কথিত অপহরণের আসল রহস্য।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে পিবিআই। কিন্তু বাদীপক্ষের উদাসিন আচরণ ও অসহযোগীতার কারণে ভাল ভাবে কাজ করতে পারছিল না তদন্ত কর্মকর্তা। তখন তাদের ওপর নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। এক সময় দেখা যায় পরিবারের সাথে কথিত অপহৃত রূপা শীলের যোগাযোগ রয়েছে। পরে নোয়াখালীর সুধারাম থেকে রূপাকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, রূপার সাথে রনি নামে যুবকের প্রেম ছিল। রনির সাথে পালিয়ে বিয়ে করে বসবাস শুরু করে। রূপার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবগত ছিলেন বাদী ও তার পরিবার। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এটাকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে নেয়। আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে। ২০১৫ সালে রনি’র সাথে বিচ্ছেদ হয় রূপার। ২০১৮ সালে টিপু তালুকদার নামে আরেকজন যুবককে বিয়ে করেন। তাদের একজন পুত্র সন্তান রয়েছে।
পিবিআই জানায়- ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পটিয়া উপজেলার তিলক শীল নামে এক ব্যক্তি তার মেয়ে রূপা শীলকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু আদালত মামলাটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিএমএম আদালতে প্রেরণ করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালত বিচারক ফরিদ আলম ঘটনা সত্য এমন প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত বিচার কার্য শুরু করেন। এরই মধ্যে আসামিরা হাজতবাস করেন। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর বাদী ভিকটিমকে উদ্ধারের আবেদন করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম