অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নব্য রাজাকারে পরিণত হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ।
মানবাধিকার সংগঠনটির সমালোচনা করে তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি বলেছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুধু জামায়াতের বিচার হচ্ছে। কিসের ভিত্তিতে তারা এ কথা বলেছে? তাদের এ গবেষণার ভিত্তি কী? এধরনের ভিত্তিহীন গবেষণা করে তারা বেতন নেন কীভাবে?
শনিবার 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। রিজিওনাল এন্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১০ টায় শুরু হয়।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক আইনের অনেক উপরে গিয়ে এ বিচার করছি। কেউ কখনো শুনেছেন অন্য কোন দেশে অপরাধী গ্রেফতারের পর তাকে জামিন দেওয়া হয়? আমরা দিয়েছি। কোন বিষয় নিয়ে অ্যামনেস্টি কথা বলছে সেটাই বুঝতে পারছি না। তারা কি সাকা চৌধুরীর কথা বলছে? তার বিচার এখনো প্রক্রিয়াধীন। রিভিউয়ের অপেক্ষায় আছি। একটা বিচার শেষ হওয়ার আগে কেউ বলতে পারে না বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। এটা ধৃষ্টতা। ব্যারিস্টার তুরিন বলেন, এইসব তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলো অপরাধীদের বাঁচাতে যত তৎপর, ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়াতে ততোটা নারাজ। তারা এখন পর্যন্ত কোন ভিকটিমের পক্ষে একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছে? তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, না দেওয়ার ব্যাপারে কোন স্টেটমেন্ট দিয়েছে? দেয়নি। অথচ তারা অপরাধীদের বাঁচাতে যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ড. জিয়া রহমান, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, অ্যাডভোকেট এ এম আমিনুদ্দিন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক শাহরিয়ার কবীর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ড. এম এ হাসান, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম (বীর বিক্রম), মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ অক্টোবর ২০১৫/ এস আহমেদ