ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, শুধু দু'একজন ব্যক্তির বিচার করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত দল ও সংগঠনগুলোরও দ্রুত বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, অ্যামনেস্টির অবস্থান ফাঁসির বিরুদ্ধে। আমাদের দেশের আইনে আমাদের দেশের অপরাধীর বিচার হচ্ছে। তা নিয়ে কোনো বিদেশি সংগঠন প্রশ্ন তুলতে পারে না। এ অধিকার তাদের নেই। এটা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ। আমেরিকায় ফাঁসি হতে পারে আর আমাদের এখানে হলেই দোষ!
'যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। রিজিওনাল এন্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়।
শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার হবে আর জামায়াত বসে থাকবে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সে লবিস্ট নিয়োগের ফলেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠনগুলো একতরফা বক্তব্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু কয়েকজন মানুষের বিচার করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এজন্য জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য সংগঠনগুলোর বিচারও করতে হবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করার দাবি জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ড. জিয়া রহমান, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, অ্যাডভোকেট এ এম আমিনুদ্দিন, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির আহবায়ক শাহরিয়ার কবীর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ড. এম এ হাসান, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম (বীর বিক্রম), মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ অক্টোবর ২০১৫/ এস আহমেদ