রাজধানীর শাহবাগে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এতে তাঁর শরীরে ৪টি আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনটি আঘাত ছিল মারাত্মক। এসব আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিকের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী আবু শাসা ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দীপনের মাথাসহ ঘাড় সংযুক্ত স্থানে মোট চারটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও তার শরীরে ধস্তাধস্তির আরও ছোটখাট কয়েকটা আঘাত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আঘাতের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে হত্যাকারীরা দীপনের ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে।
ময়নাতদন্তের আগে মৃত ব্যক্তির সুরহতাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) শাহীন ফকির। তিনি বলেন, দীপনের বাম কান থেকে ঘাড় হয়ে ডান কান পর্যন্ত মাথার পেছনে এবং মাথার বামপাশে রক্তাক্ত কাটা জখম রয়েছে। এছাড়াও ডান কাঁধে সামান্য একটি কাটা দাগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজধানীর শাহবাগের আজিজ মার্কেটের তৃতীয় তলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে। এই প্রকাশনী থেকে চলতি বছরের একুশে বইমেলার সামনে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া অভিজিৎ রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বই দুটি প্রকাশিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০১ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব