কুমিল্লা ইপিজেডে হংকংয়ের মালিকানাধীন একটি কারখানায় জিন-ভুতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে! গত কয়েকদিনে কোম্পানির কয়েকজন ছেলেকে জিনে ধরেছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। এরমধ্যে জিনের হাতে চার শ্রমিকের মৃত্যুর গুজবে শ্রমিকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আতংকিত শ্রমিক, তাদের স্বজনরা ইপিজেডের গেটে ভিড় করেন। তারা কারখানায় প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে এ ধরনের গুজবের কারণে মঙ্গলবার কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, তুং হিং (বাংলাদেশ) ম্যানুফেক্টরি লি. নামীয় হেয়ারিং এক্সেসরিজের এ কারখানাটি গত ৮ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লা ইপিজেডের নবনির্মিত ভবনে কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতেই এ কারখানায় জিন-ভুতের অস্তিত্ব আছে বলে শ্রমিক ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে কারখানায় ধর্মঘট পালন করে শ্রমিকরা। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে কারাখানা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
ওই কারখানার কান্ট্রি ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার রাতে শ্রমিকরা কাজ করার সময় কারখানার ৪র্থ তলায় সুইং ডিপার্টমেন্টের আলী হোসেন (২২) নামের এক শ্রমিক বাথরুমে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে সকাল থেকে কারখানায় শ্রমিক মৃত্যুর গুজবে শ্রমিকদের স্বজনসহ ২-৩শ' বহিরাগত ইপিজেডের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা কারাখানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ধরনের গুজবের কারণে মঙ্গলবার কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারখানায় শীঘ্রই মিলাদ পড়ানো হবে বলে শ্রমিকদের শান্ত করা হয়েছে।
সদর দক্ষিণ থানার ওসি প্রশান্ত পাল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কুমিল্লা ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার মেহেবুব আলী সাংবাদিকদের জানান, ওই কারখানার কোন শ্রমিক মারা যায়নি, গুজবের কারণে শ্রমিকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ