১৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৩:৫২

‘সাইলো বরিশালেই হবে, তবে বধ্যভূমিতে নয়, বিকল্প স্থানে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

‘সাইলো বরিশালেই হবে, তবে বধ্যভূমিতে নয়, বিকল্প স্থানে’

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু : ফাইল ছবি

‘বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাবিত সাইলো (আধুনিক গোডাউন) বরিশালেই হবে। তবে বধ্যভূমিতে নয়, সাইলো হবে বিকল্প স্থানে।’ বরিশালে সাইলো নির্মাণের প্রস্তাবিত এবং বিকল্প স্থান পরিদর্শন শেষে আজ রবিবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, বধ্যভূমি বধ্যভূমির জায়গায় থাকবে, বিকল্প জায়গা বের করে সাইলো নির্মাণ করতে হবে।’ এ লক্ষ্যে প্রস্তাবিত এবং বিকল্প জায়গা পরিদর্শন করেছেন তিনি। এখন জেলা প্রশাসক এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিকল্প স্থান বের করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান শিল্পমন্ত্রী। বরিশালে বধ্যভূমির উন্নয়নে সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দেয়ার কথাও বলেন শিল্পমন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর আসনের এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যালসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বরিশালে ২০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি সাইলো (আধুনিক গোডাউন) নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে গত বছর শেষের দিকে কীর্তনখোলা নদী তীরবতী বধ্যভূমি সংলগ্ন একটি জলাশয় ভরাটের কাজ শুরু করে খাদ্য বিভাগ। এতে আপত্তি জানায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং সুশীল সমাজ। তাদের তীব্র বাঁধার মুখে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য গত ৩ জানুয়ারি বরিশাল আসেন স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামর’ল ইসলাম এমপি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময়ের পর মন্ত্রী বধ্যভূমির জন্য আরো ৩-৪ বিধা জমি ছেড়ে দেয়ার এবং বধ্যভূমির উন্নয়নে ৪-৫ কোটি টাকা বরাদ্ধের প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং সুশীল সমাজ মন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বরিশালে সাইলো নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রীও বধ্যভূমিতে সাইলো নির্মান না করে বিকল্প স্থানে সাইলো নির্মাণের নির্দেশনা দেন। এর প্রেক্ষিতে বিকল্প স্থান খুঁজে বের করতেই আজ মন্ত্রী বধ্যভূমি এলাকা পরিদর্শন করেন।

 

 

বিডি-প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর