গাজীপুরে এক কিশোরীকে দু'দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ির ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হল- ওই ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ (২৬), স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্য নাহিদ হাসান (২৫), স্থানীয় লন্ড্রি ব্যবসায়ী সুজন (৩০) ও ধর্ষণে সহয়তাকারী স্থানীয় মুদি দোকানী মুক্তা বেগম (৩০)।
ধর্ষিতার মা জানান, স্বামী, সন্তান নিয়ে তারা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার হরিণাচালা বিল্লাল শিকদারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার মেয়ে স্থানীয় একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করে। গত কিছুদিন যাবত লন্ড্রি মালিক সুজন ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সুজন আগে বিয়ে করায় এবং তার একাধিক সন্তান থাকায় তারা (কিশোরীর পরিবার) বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরে ওই কিশোরীকে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য সুজন স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা শহিদ ও নাহিদের শরণাপন্ন হয়।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কথা আছে বলে স্থানীয় মুদি দোকানদার মুক্তা বেগম তার মেয়েকে ওই এলাকার সুমনদের সাততলা ভবনের সপ্তম তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীটিকে কৌশলে একটি কক্ষে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে আসে। রাতে নাহিদ, শহিদ ও সুজন ওই বাড়িতে গিয়ে কিশোরীটিকে গণধর্ষণ করে। পরদিন শুক্রবারও তারা একইভাবে কিশোরীটিকে ফের ধর্ষণ করে। শনিবার তারা কিশোরীটিকে ছেড়ে দেয়।
কিশোরীর মা আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে শনিবার বাসায় ফিরে মেয়ে ঘটনাটি তাকে জানায়। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর সেলিম রহমানকে জানান।
জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোবারক হোসেন জানান, কাউন্সিলর সেলিম রহমান অভিযুক্তদের রবিবার তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন এবং বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে দুপুরে অভিযুক্তদের আটক করা হয়।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, এ ঘটনায় তিন ধর্ষক ও এক নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ