পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় নতুন হল নির্মাণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা দেওয়া আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য বের হন শিক্ষার্থীরা। তিনদফা মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। সর্বশেষ বংশাল মোড়ে মিছিল পৌঁছালে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মিঠুন নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম নয়ন অভিযোগ করে বলেন, মিছিল রায় সাহেব বাজার মোড় অতিক্রম করার সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরা সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়। এরপর তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ জানান, আমরা শান্তিপূর্ণণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে করে আমাদের ৫০ এর বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
বংশাল থানার ওসি হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে ফিরে যেতে বলা হয়। বংশাল ক্রসিংয়ে তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়েছে মাত্র। কাউকে গুলি করা হয়নি। আটকও করা হয়নি।
এদিকে, পুলিশের বাধার মুখে আন্দোলনকারীরা বংশাল থেকে ফিরে নয়াবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সেখানেই বিক্ষোভ করছেন তারা। এতে পুরান ঢাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দাবি আদায়ে গত বৃহস্পতি ও রবিবার দুই দিন ক্যাম্পাসে ছাত্র ধর্মঘট পালনের পর সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া দেয় শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২ আগস্ট থেকে নাজিম উদ্দিন রোডে পরিত্যক্ত কারাগারের জমিতে হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
বিডি-প্রতিদিন/২২ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব