বরিশাল বিএম কলেজের সুরেন্দ্র ভবন ছাত্রাবাসের পরিত্যক্ত ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতংকে রয়েছে ভবন সংলগ্ন সেমিপাকা ভবনে বসবাসকারী অর্ধশত আবাসিক শিক্ষার্থী।
সংলগ্ন সেমিপাকা ভবনে বসবাসকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গত রবিবারের ভারী বর্ষণে নগরীর জেলে বাড়ির পুল সংলগ্ন সুরেন্দ্র ভবন ছাত্রাবাসের পুরনো দোতলা পরিত্যক্ত ভবনটি আরও নাজুক হয়ে যায়। সোমবার সকাল পৌঁনে ৬টার দিকে সুরেন্দ্র ভবন ছাত্রাবাসের পরিত্যক্ত ভবনের একাংশ বিটক শব্দে হুড়মুড় করে ধসে পড়ে। ধসে পড়া অংশের বেশিরভাগ পড়ে তারিনী কুমার লেনের উপর। তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
তবে ভবন সংলগ্ন সেমিপাকা ভবনে বসবাসকারী শিক্ষার্থীরা যে কোন মুহূর্তে পরিত্যক্ত ভবনের বাকী অংশ ধসে পড়ে হতাহতের আশংকায় দিন কাটাচ্ছেন।
হোস্টেল সুপার মো. আল-আমিন সরোয়ার জানান, ৩ বছর আগে সুরেন্দ্র ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এটি ভেঙে ফেলা জরুরি হলেও অর্পিত সম্পত্তি হওয়ায় আইনী জটিলতার কারণে ভবনটি ভেঙে ফেলা যাচ্ছে না। ৪২জন শিক্ষার্থী ওই ভবন সংলগ্ন সেমিপাকা ভবনে বসবাস করছেন।
সুরেন্দ্র ভবনটি প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো। ১ একর ৬০ শতাংশ জমি নিয়ে গত ৫০ বছর ধরে পাশ্ববর্তী জনৈক ব্যবসায়ী হায়দার খানের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলে আসছে। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় এই ভবনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ