নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকতা মামুনুর রশিদ মণ্ডলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০ টা হতে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার নূর হোসেন, তারেক মুহাম্মদ সাঈদ সহ ২৩ আসামীর উপস্থিতিতে সোমবার শুনানী শেষে আদালত আগামী ২৯ আগস্ট পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন। এ নিয়ে সাত খুনের দুটি মামলায় অভিন্ন ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাত খুনের ঘটনায় তৃতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামুনুর রশিদ মণ্ডল যিনি এখন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক ও চার্জশীট দাখিলের সময়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ছিলেন। সোমবার মামুনুর রশিদ মন্ডলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এদিন তার পুরো সাক্ষ্য প্রদান শেষ হয়নি। তাই আদালত মুলতবি ঘোষণা করে আগামী ২৯ আগস্ট পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।
আদালত সূত্র মতে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদি নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদি নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। প্রথমে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হয়। তখন মামলাটি তদন্ত করেন থানার এস আই ফজলুল হক। ইতোমধ্যে তিনি মারা গেছেন। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হলে ২০১৪ সালের ৩ মে হতে ৭ মে পর্যন্ত তদন্ত করেন ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এস আউয়াল তদন্ত করেন। শেষে তিনি বদলী হলে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডলকে। পরে ২০১৪ সালের ৮ মে হতে তদন্ত শুরু করেন পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মণ্ডল। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ২২ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন