সর্বনিম্ন মজুরি দশ হাজার টাকা প্রদানসহ ১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিট থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। নৌ-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হলেও নৌ-যান শ্রকিদের অন্যান্য সংগঠন এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এছাড়া এই ধর্মঘটের ফলে যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানীবাহীসহ দেশে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি মো.শাহ আলম জানান, যুগ যুগ ধরে নৌ-যান মালিকরা শ্রমিকদের কম মজুরী দিয়ে আসছে। দেশে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে নৌ-যান শ্রমিকরা অসহায় জীবন-যাপন করছে। তাই শ্রমিকদের সর্বনিম্ম দশ হাজার টাকা মজুরীসহ ১৫ দফা দাবিতে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল। ওই সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান এমপি জরুরী সভা ডেকে তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সময় চাইলে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবে রূপ নেয়নি।
এ অবস্থায় দাবি আদায়ে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিট থেকে সারাদেশের নৌ শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে। এই ধর্মঘটের আওতায় যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানীবাহী নৌ-যানসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে ধর্মঘটের ফলে বরিশালের অভ্যন্তরীন এবং দুরপাল্লার রুটের যাত্রীবাহি নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম বেকায়দায় পড়েছে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। অপরদিকে পন্য ও জ্বালানবাহি জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে।
বিডি প্রতিদিন/২৩ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১০