রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্র অমিত সাহাকে হত্যার দায়ে তার দুই বন্ধুকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: আশফাক আহমেদ শিহাব ও আল আমিন ইসলাম পিন্টু। এছাড়া রুহুল আমিন রুবেলের যাবজ্জীন কারাদন্ড পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায় শুনে বাদী শ্যামল সাহা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।
এবিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভ‚ইয়া সাংবাদিকদের জানান, রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, আসামিরা বন্ধুত্বের পরিচয়ে যে নৃশংস ঘটনার অবতারণা করেছে তার পুনরাবৃত্তি না হোক- এ আদালত তা মনে করে। সে কারণে কৃতকর্মের জন্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যুক্তিসঙ্গত। এতে ন্যায়বিচার হবে বলে আদালত মনে করে।
এছাড়া আসামিরা অমিতকে চেতনানাশক মেশানো জুস খাইয়ে ওই বাসায় লুটপাট চালায়। কিন্তু অমিত দেখে ফেলেছেন বলে সন্দেহ হওয়ায় শিহাব ও পিন্টু তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এছাড়া আসামি রুবেলের সম্পৃক্ততা ছিল মালপত্র লুটের পরিকল্পনার সঙ্গে। হত্যাকান্ডে তার সরাসরি অংশগ্রহণ প্রমাণিত হয়নি।
২০১২ সালের ২১ নভেম্বর পল্লবীর এক বাসায় খুন হন ২০ বছর বয়সী অমিত। পরে হত্যাকারীরা তার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে বাসা থেকে ল্যাপটপ, ট্যাব, সোনার গয়নাসহ প্রায় নয় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পরে ছেলের বন্ধু শিহাব, পিন্টু ও রুবেলের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা শ্যামল সাহা। পরে তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ