ডাস্টবিন মুক্ত হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের সাবেক উপহার সিনেমা হলের সামনের ডাস্টবিন উচ্ছেদ করার মধ্য দিয়ে ডাস্টবিন মুক্ত নগর গড়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতে বর্জ্যমুক্ত নগর গড়তে গত বছরের ১ আগস্ট থেকে গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড থেকে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ শুরু করেন মেয়র।
মঙ্গলবার কেবি দোভাষ স্কুল, যুব গোষ্ঠী, ফকিরহাট বাজারের দুটি, আজিজ মিয়া মসজিদের সামনে, বাচ্চু সওদাগর মসজিদের সামনে, ইসলাম সওদাগর বাড়ির সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ২৪টি উন্মুক্ত ডাস্টবিন ভেঙে ফেলা হয়। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭টি ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কর্মসূচি শুরু হয়। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মাসের মধ্যে ৪১ ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে প্রায় ১৯ হাজার বিন ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসা-বাড়ি, দোকান ও অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২২টি রিকশাভ্যানের মাধ্যমে বিকেল তিনটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অলিগলিতে বাঁশি বাজিয়ে বিন থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ডাস্টবিন উচ্ছেদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাবিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন, কাউন্সিলর ইসমাইল বালী, সোলায়মান সেলিম, ফেরদৌসী আকবর, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ আজম, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীর সৌন্দর্য্য ও বিশ্বমানের নগরী গড়ার লক্ষে ডাস্টবিন মুক্ত নগরী গড়ার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। আবর্জনার বিরুপ প্রভাব ও ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনায় এনে জনস্বার্থে ব্যয় বহুল আবর্জনা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং নান্দনিক নগরী উপহার দেয়ার প্রত্যয় ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে। নগরীর নানা শ্রণী-পেশার নাগরিকদের সহযোগিতায় পরিকল্পিত নগরী গড়ার প্রয়াস চালানো হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব