দীর্ঘদিন ধরেই কমিটি না থাকায় নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের পৃথক সাংগঠনিক কাঠামো থাকলেও কমিটির কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে হতাশায় আছেন তৃণমূলের নেতারা। নগরে আহবায়ক কমিটি দিয়েই ১৫ বছর পার করেছে ও উত্তর জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে চলছে সংগঠনের কার্যক্রমগুলো। দক্ষিণ জেলায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেন নাম ঘোষনা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি দীর্ঘ এক বছরেও।
চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিনহাজুল আবেদীন সায়েম ক্ষোভের সাথে বলেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দীর্ঘবছর ধরেই কমিটি নেই। আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে ১৫ বছর। নতুন কমিটি না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব সংকট এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমও শক্তিশালী হচ্ছে না। এতে দ্রুত কমিটি না হলে চট্টগ্রামে নেতা তৈরি করতে হিমশিম খেতে হবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আনোয়ার আজম বলেন, নতুন নেতৃত্ব তৈরির জন্য সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত কমিটি করতে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করা হয়েছে। তবে সম্মেল প্রস্তুতি কমিটি দিয়েই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীসহ নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে আসছেন বলে জানান তিনি।
দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাস শোকের হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে না। তবে সেপ্টেম্বরের ভিতরেই কমিটি ঘোষণা হবে বলে জানান তিনি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগর কমিটির ২১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ও আহবায়ক কমিটির নেতাদের নেই কোন ধরণের তৎপরতাও। এ অবস্থায় তিন মাসের আহবায়ক কমিটি বর্তমানে পাড় হয়েছে ১৫ বছর ৮ মাসে। ২১ সদস্যের এ কমিটিতে কয়েকজন ছাড়া সবাই রয়েছে নিস্ত্রিয়। দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি এক বছরেও। উত্তরে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সব মিলে দেখা দিয়েছে কমিটি গুলোর নানান জটিলতাও। তাছাড়া নগর কমিটি গঠনের ব্যাপারে কোন ধরণের উদ্যোগ না থাকায় নগরীর ওয়ার্ড-থানা কমিটি নেই দীর্ঘবছরেও। একইভাবে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে দ্রুত কমিটি গঠন হলে সাংগঠনিক তৎপরতা ও নেতৃত্ব তৈরি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানান তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি না থাকায় নামে মাত্র গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার তিনটি পৃথকভাবে এ সংগঠনের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। এতে সাংগঠনিক কমিটির নেতৃত্ব শূন্যতার দৃশ্যও দেখা গেছে লক্ষণীয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার