বহুল আলোচিত কোকেন চালান মামলার অন্যতম আসামি নুর মোহাম্মদ জামিনে মুক্ত হয়ে সাত প্রতিষ্ঠান ও তিন ব্যক্তির নামে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন।
মামলায় বিবাদী করা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে কসকো কনটেইনার লাইনস, কসকো (বাংলাদেশ) শিপিং লাইনস, এস আর এল, সাউথ ফ্রেইট লজিস্টিকস, এমভি থরোসটিলিয়ান, পিআইএল (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং বলিভিয়ার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া গোলাম মোস্তফা সোহেল, ফজলুর রহমান ও মো.বকুল মিয়াকেও এ মামলায় আসামী করা হয়।
রবিবার চট্টগ্রাম তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নুর মোহাম্মদ। আদালত মামলা গ্রহণ করে ৮ অক্টোবর আসামিদের হাজিরের জন্য সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, নুর মোহাম্মদ একজন আমদানিকারক হলেও খানজাহান আলী লিমিটেডের অজ্ঞাতে বিবাদি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা পরস্পরের যোগসাজশে কোকেন পাঠিয়েছে। এ কোকেন চালানের সাথে বাদীর কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। এ মামলার কারণে আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন নুর মোহাম্মদ। তাই সাত প্রতিষ্ঠান ও তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১শ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। একই বছরের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। সাড়ে চার মাস তদন্তের পর ২০১৫ সালের নভেম্বরে আটজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগপত্র আদালতে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে র্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ৩ এপ্রিল কোকেন চালান আমদানি মামলায় নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে। তবে একই ঘটনায় মাদক আইনে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে নূর মোহাম্মদ ও তার ভাইকে আসামি করা হয়নি। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হন কোকেন চালানের অভিযুক্ত আমদানীকারক নুর মোহাম্মদ।
বিডি প্রতিদিন/ ৬ আগস্ট, ২০১৭/ ই জাহান