রাজস্ব বিভাগের কর আদায়ে পিছিয়ে পড়া ১৬টি ওয়ার্ডে গতিশীলতা আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)।
সোমবার দুপুরে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ১৬ ওয়ার্ডে কর আদায়ে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৬ ওয়ার্ডের মধ্যে আছে ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী, ২ নম্বর জালালাবাদ, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ, ৫ নম্বর মোহরা, ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া, ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া, ৩৭ নম্বর মুনিরনগর, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ও ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা।
ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কর আদায়ে পিছিয়ে পড়া ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে- প্রথমে বকেয়া করদাতাদের তালিকা তৈরি, করদাতা সমাবেশ করে তাদের উদ্বুদ্ধ করা, সমস্যা চিহ্নিত করা, স্থানীয় মসজিদগুলোতে জুমার নামাজের আগে কর দেওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে ইমাম-খতিবদের অনুরোধ জানানো, বিভিন্ন স্কুল-কলেজে হওয়া সমাবেশে শিক্ষকরা যাতে নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার স্বার্থে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো এবং মাইকিং করা।
জানা যায়, বর্তমানে চসিকের ২ হাজার ৫৪৮টি সরকারি হোল্ডিং, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ বেসরকারি হোল্ডিং আছে। এর মধ্যে অনাদায়ী বকেয়া আদায়ে সরকারি-বেসরকারি সব হোল্ডিং মালিক বরাবরে দাবি বিল জারি করা হচ্ছে। ক্রোকি পরোয়ানা জারি ও প্রচলিত আইনে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সমন জারি করা হবে। বছরের শেষদিকে তাৎক্ষণিক কর ও ফি আদায়ের লক্ষ্যে কর মেলা আয়োজন করা হবে বলে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/ ৭ আগস্ট, ২০১৭/ ই জাহান