ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ১০ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সী মশিউর রহমান এই আদেশ দেন। মামলার বাদি দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরীর আবেদন গ্রহণ করে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
বাদির আইনজীবী ও দিয়াজের বড় বোন জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নীপা বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিমানবন্দরসহ দেশের সকল সীমান্তেও আসামিদের বিষয়ে তথ্য পাঠিয়ে তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক করার কথা বলেছেন আদালত।
দিয়াজ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামশেদুল আলম চৌধুরী, স্থগিত কমিটির প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান, ছাত্রলীগ কর্মী আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আব্দুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ নভেম্বর চবির ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে বক্তব্য দিলেও পরিবার অভিযোগ করে আসছিল, দিয়াজকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দিলে দিয়াজের পরিবার তা প্রত্যাখান করে। ২৪ নভেম্বর আদালতে দিয়াজের মা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ওই মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। আদালতের নির্দেশে দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। গত ৩০ জুলাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পায় সিআইডি। প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যু আঘাতপূর্বক শ্বাসরোধজিত বলে উল্লেখ করা হয়। গত ২ আগস্ট ময়নাতদন্ত এবং তদন্তের অগ্রবর্তী প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে বলা হয়- দিয়াজকে আঘাতপূর্বক শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার