সাভারে এক কলেজছাত্রীর প্রচেষ্টায় মরিয়ম আক্তার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের চাইরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মরিয়ম আক্তার ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে এবং মুশুরিখোলা শামসুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জনায়, পারিবারিকভাবে শুক্রবার ভাকুর্তা এলাকার নুরুল ইসলামরে মেয়ের সাথে একই এলাকার শহিদুল্লার ছেলে ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রি জাকির হোসেনের (২৮) বিয়ের আয়োজন করা হয়। এমন খবরের ভিত্তিতে সাভর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী ও এনজিও কর্মী মুক্তা আক্তার মনি ছুটে যায় ওই এলাকায়। তিনি ভাকুর্তা এলাকার বিভিন্ন স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিদের ডেকে জড়ো করেন। পরে ওই কলেজ ছাত্রী স্থানীয়দের বাল্য বিয়ে সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বর ও মেয়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে এ বিষয়ে আলোচনা করার পর তারাও বিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।
মেয়ের বাবা নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি একজন রিক্সা চালক। আমি অনেক বড় ভুল করতে যাচ্ছিলাম। বিষয়টি আমি এখন বুঝেছি। তাই বিয়ে বাতিল করেছি।
ওই কলেজ ছাত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্য বিয়ের কারণেই বহু বিবাহ, নারী নির্যাতন, শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃ মৃত্যুর হারের মত নানা ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাল্য বিবাহ বন্ধ না হলে এসব প্রতিরোধ সম্ভব নয়। সাধারণত পরিবারের অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে সমাজে বাল্য বিবাহের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ইভটিজিং এর ঘটনাও কম নয়। অনেক মেয়ে লোক লজ্জার কারণে বিষয়টি লুকিয়ে রাখে। নীরবে অনেক ছাত্রী এসব সহ্য করে যাচ্ছে। স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসার পথে অনেক ছাত্রী ইভটিজিংয়ের শিকারও হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ আগস্ট ২০১৭/হিমেল