মিথ্যা মামলা দায়ের করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি এবং অযথা আদালতের সময় নষ্ট করার অভিযোগে এক বিচারকের দায়ের করা মামলায় বরিশালের এক আইনজীবীর সহকারীসহ (মহুরী) ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. গোলাম ফারুক।
স্বামীকে হত্যার অভিযোগে শাশুড়িসহ পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন বরিশাল নগরীর কাটপট্টি রোডের বাসিন্দা হুমায়ন কবিরের মেয়ে তানজিলা বেগম। সে বানারীপাড়া উপজেলার মৃত ওমর ফারুক বাবুর স্ত্রী।
চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক মো. মারুফ আহম্মেদ তাৎক্ষনিক মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হল- হুমায়ন কবিরের দায়ের করা হত্যা মামলার সাক্ষী পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন গ্রামের কাজী এনামুল হক, মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়া এলাকার সোহেল সরকার, ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার গুনিয়াউক এলাকার ইশাতিয়াক আহম্মেদ এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান।
আদালত সূত্র জানায়, তানজিলা বেগমের স্বামী ওমর ফারুক বাবু মাদকাসক্ত ছিলেন। বাবুর মা ফেরদৌসী পারভীন একমাত্র ছেলেকে মাদকমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা করান। কিন্তু অতিরিক্ত মাদক সেবন করায় অসুস্থ্য হয়ে বাবুর মৃত্যু হয়। অপরদিকে এ ঘটনাকে পুঁজি করে বাবুর স্ত্রী তানজিলা বেগম ও তার বাবা ফায়দা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ফেরদৌসী পারভীনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ২২ অক্টোবর বরিশাল আদালতে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ওই অভিযোগ বানারীপাড়া থানায় এজাহারভূক্ত করা হয়। পরে তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা বানারীপাড়া থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। গত ২৯ মার্চ এজাহারকারী হুমায়ন কবীরকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে হাজির হলেও পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি না জানানোর কারণে হুমায়ন কবিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বিচারক।
বিডি প্রতিদিন/২০ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল