রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এই পাঁচ নারীর হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সনদপত্র তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সংবর্ধনা জানান।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী সরকারি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর রাজশাহী বিভাগ থেকে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রুবিনা খাতুন। আর নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন জীবন শুরু করা নারী হিসেবে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন একই উপজেলার কামারদিয়াড় গ্রামের রুবিয়া বেগম।
এছাড়া চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মাল্লাপাড়া গ্রামের অনামিকা ঠাকুর, সফল জননী হিসেবে রাজশাহী নগরীর নামোভদ্রা মহল্লার আনোয়ারা খাতুন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় নগরীর কাজলা এলাকার কল্পনা রায় ভৌমিক জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন।
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, যে পাঁচ বিষয়ে অবদানের জন্য নারীদের জয়িতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটি বিষয়ই প্রতিটি নারীর জন্য অনুকরণীয়। নারীকে তার অধিকার দিতে হবে। তাহলেই নারীরা সমাজকে এগিয়ে নিতে পারবেন। নারীর অধিকার বুঝিয়ে দিলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার।
বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে নওগাঁর সাবেক সংসদ সদস্য শারমিন মনোয়ারা হক, জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের, সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেণী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে তৃণমূলের সংগ্রামী নারীদের আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত করতে কয়েক বছর ধরে সারাদেশে জয়িতা নির্বাচিত করে আসছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতর। এবার বিভাগীয় পর্যায়ের এ পুরস্কারের জন্য বিভাগের আট জেলা থেকে ১০ নারীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।
পরে সংবর্ধনা প্রদানের আগে সকালে তাদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ পাঁচ নারীকে নির্বাচিত করেন বিচারকরা। দুপুরে তাদের সংবর্ধনা জানান প্রতিমন্ত্রী। এ সময় শ্রেষ্ঠ জয়িতারা নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। কেঁদে ফেলেন কেউ কেউ। বর্ণনা করেন নিজের সারাজীবনের সংগ্রামের কথা। তাই এই সম্মান নিজের কাছে শ্রেষ্ঠ অর্জন বলে অভিহিত করেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/১২ মে ২০১৮/এনায়েত করিম