বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ইয়াবা প্রথমে আনন্দদায়ক, উদ্দীপক, উত্তেজক কিন্তু চূড়ান্ত পরিণতিতে বেদনা। সবগুলোই কিন্তু ধ্বংসাত্বক। যে ছেলেটা ইয়াবা খাচ্ছে সে নিজেকে ধ্বংস করছে, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করছে। ওকে শেষ না করে মাদকের উৎসটা (রুট) দেখতে হবে। মাদকের উৎস বন্ধ করতে হবে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'মাদক বিরোধী অভিযান ও বাস্তবতা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শরীরের এমন কোনও অঙ্গ নেই যেটাকে এই ইয়াবা এফেক্ট না করে। মাদক গ্রহণের ফলে কিডনি নষ্ট হয়, লিভার নষ্ট হয়, হার্ট নষ্ট হয়, শরীরে রক্ত তৈরি হয় না।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে কিন্তু মাদক তৈরি হয় না। মাদক তৈরি হয় বাইরের দেশে। ইয়াবা তৈরি হয়া বার্মাতে (মিয়ানমার), ফেন্সিডিল ভারতে। এছাড়া দেশে মাদক আসে বাইরের দেশ থেকে। তাই কোনও উপায়ে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে ওইসব দেশে এর উৎপাদন বন্ধ করা যায় কি না। উৎস বন্ধ করা যায় কি না। কারণ ওরা যদি সাপ্লাই দিতেই থাকে। তাহলে একদিক থেকে এটা বন্ধ করা যাবে না। যদি সোর্সটা বন্ধ না করা যায় তাহলে এটা বন্ধ করা যাবে না। শুধু কয়েকজন লোককে মেরে ফেলে এটা আসলে কতটুকু বন্ধ করা যাবে সেটাও মাথায় রাখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, মাদক প্রতিরোধ প্রথমে পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে শুরু করতে হবে। ধর্মীয় চেতনা অবশ্যই জাগ্রত করতে হবে। মানুষ যদি আল্লাহকে ভয় করে তাহলে আমার মনে হয় এ সমস্যার সমাধান (প্রবলেম সলভ) করা সম্ভব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব নাসির উদ্দিন আহমদ, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্য ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মোহিত কামাল, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সুপ্রিম কোর্টের জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.), নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মো. আব্দুর রশীদ (অব.), জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.ফারজানা, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার শেখ আসলাম, অভিনেতা পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান