পুরান ঢাকায় অবৈধ রাসায়নিক ও প্লাস্টিকের কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আবারও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে বকশিবাজারের জয়নাগ রোডে অভিযানের শুরুতেই প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ শুরু করে।
বকশিবাজারের জয়নাগ রোডে প্লাস্টিক দানার কারখানা ও গুদাম দেখতে পান অভিযানিক দল। পরে কারখানাসহ পুরো ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একই রোডের আরও একটি বাসার নিচতলায় প্লাস্টিক দানার কারখানা পাওয়ায় সেখানেও বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসময় প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করে অভিযান বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে, গত রবিবার পুরান ঢাকার চকবাজারে আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদে গেলে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিযান ওই সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়।
আজকের অভিযানে উপস্থিত রয়েছেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ খানসহ তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসন চকবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা
এর আগে গত শনিবার দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু হয় আরমানিটোলা ও শহীদনগর এলাকায়। শহীদনগরে বেশ কয়েকটি কারখানার পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অল্প সময়ের নোটিশে কারখানা ও গুদাম সরানো কঠিন বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের সময় দিতে হবে। এখানে কেমিক্যাল বলতে হাজার হাজার কেমিক্যাল আছে। এখানে আগুন ছড়ানোর কেমিক্যাল আছে। আগুন নেভানোরও কেমিক্যাল আছে। আমাদের একটা জায়গা দেন আমরা সেখানে যাবো।
আরমানিটোলায় বেশ কয়েকটি কারখানাকে সপ্তাহ খানেকের সময় বেঁধে দিয়েছে টাস্কফোর্স। পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা রাসায়নিক ঝুঁকিমুক্ত করার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা জানালেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানির পর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চকবাজার থেকে সকল ধরনের কেমিক্যাল গোডাইন অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার