নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজারে মাদকের প্রতিবাদ করায় ৫ সন্তানের জননী আরজু বেগমকে (৪০) নামে এক নারীকে মারধর ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনার পর সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আরজু বেগম টানবাজার র্যালী বাগান এলাকার আক্তার হোসেনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় এ্যাড. হামিদা ওরফে লিজা, তার বোন এ্যাড. আসমা, হোসনা ও সরবানু, রমজানসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আরজুদা বেগমের জামাতা মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত আরজু বেগমের মেয়ে লাকী জানান, দীর্ঘদিন যাবত মাদক নিয়ে প্রতিবাদ করায় এ্যাড. হামিদা আক্তার লিজা ও রমজানের লোকজনদের সাথে আমাদের শক্রতা তৈরি হয়। যতদিন মাদকের ব্যাপারে আমার কোনো প্রতিবাদ করিনি ততদিন আমরা তাদের বন্ধু ছিলাম। কিন্তু মাদক নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার পুরো পরিবার তাদের কাছে শক্রতে পরিণত হয়েছে।
র্যালী বাগান এলাকায় মাদক নির্মূলে মিছিল করে আরজু বেগম ও তার লোকজন। ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার দুপুর ২টায় মাদক ব্যবসায়ী রমজান ও হামিদা গংরা প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আরজু বেগমকে প্রথমে এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি মেরে আহত। পরে বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সে সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, র্যালী বাগান এলাকার বাসিন্দা এ্যাড. হামিদা আক্তার লিজাকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের যাতে জামিন না করিয়ে দেয় সেজন্য এলাকাবাসী দাবি জানান। আর এ নিয়ে হামিদা আক্তার লিজার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বাক বিত্ণ্ডা হয়। ওই সময় লিজার ভাই বিল্লাল ও এক বোন মিলে ওই আরজু বেগমকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পেচিয়ে ফেলে। আরেকজন আরজু বেগমের শরীরে পানি ঢেলে দেয়। এতে করে বিদ্যুতের শক থেকে আরজু বেগম আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত জনকে আটক করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন