রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে রবিবার সন্ধ্যায় আকস্মিক ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে রাজধানীর পল্টন নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে চা দোকানি, শ্যাওড়াপাড়ায় একজন ও শ্যামলীতে গাছ পড়ে একজন মারা গেছেন।
এদিক, গাছ উপড়ে চলন্ত গাড়ির ওপর পড়ায় বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন রাস্তার যান চলাচল। অন্যান্য রাস্তায় পানি জমে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে বিপাকে পড়ে অফিস ফেরত মানুষ। চারদিক অন্ধকার করে প্রচণ্ড ঝড়ের সময় বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক।
ঝড়ের পর রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থবির হয়ে পড়ে যান চলাচল। যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় রাস্তায়। অনেকে পায়ে হেঁটে রওনা করেন গন্তব্যে। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে উপড়ে পড়া গাছ অপসারণ শুরু করেছে।
রাজধানীর মতো দেশের অন্যান্য স্থানেও ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আকাশে কালো মেঘ জমে। এরপর শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে হাটবাজার ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝড়।
অন্যদিকে, সন্ধ্যায় ঝড়ের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণা বায়ু প্রবাহের সঙ্গে ও উত্তর-পশ্চিম বায়ু প্রবাহের সংমিশ্রণের কারণে এ ঝড় হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। আগামী ৩ দিন এরকম ঝড় আরো হতে পারে। নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন