খুলনায় মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ৭ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে ৩৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে সদস্য টিকিট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে খালিশপুর থানার ৭, ৮ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানার সকল ওয়ার্ডের সম্মেলন ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ে অনুপ্রবেশকারীদের যোগদান ও বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের বেশি প্রাধান্য দেয়ার ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অভিমান সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর ৭, ৯, ১০, ১৪ ও ১৬ নং ওয়ার্ডে কমিটি গঠন নিয়ে মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে ১৬নং ওয়ার্ডে গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার ঘোষণায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন নেতাকর্মীরা।
১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি কাজী মুজিবুল হক বলেন, দল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকায় এখন আর ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হয় না। বরং ভূমিদস্যু, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারী সিন্ডিকেটের প্রধান, যুদ্ধাপরাধী পরিবারের জামাতা এদের নিয়েই কমিটি গঠনের ষড়যন্ত্র চলছে। এতে তৃনমূলের কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
এদিকে আগামী ৪ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলা-উপজেলা সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ে ব্যক্তিগত রেশারেশি ও উপজেলা নির্বাচনে দ্বন্দ্বের কারনে বিভিন্ন জায়গায় বিভেদ রয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্মেলন প্রস্তুতিতে উপ-কমিটি করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, এরই মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সদস্য টিকিট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় অনেক যোগ্য তরুণ নেতারা পদ-পদবির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ফলে এবারের কমিটি গঠনে নানা মেরুকরণের আভাস রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ