রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে হামলা হয়েছে। এতে কমপক্ষে সাত জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
আহতদের মধ্যে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক হোসেন রুবেলসহ ৩-৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রুবেল জানান, যারা আহত হয়েছেন তিনিসহ সবাই মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পদপ্রার্থী কামাল হোসেন রবি ও সদস্য পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হবির হয়ে কাজ করছিলেন। তার দাবি, ভোটগ্রহণ চলাকালে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাহাতাব হোসেনের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে মহানগরীর পাঠানপাড়া সংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ চলছিল। সকাল থেকেই সব প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছিলেন।
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাহাতাব হোসেনের লোকজনের সঙ্গে সভাপতি প্রার্থী কামাল হোসেন রবি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মমিনুল ইসলাম মমিনের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ভোটকেন্দ্রের বাইরে এসে একটি পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বুথ ভাঙচুর করে। পরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়। আকস্মিক এই হামলার ঘটনায় কমপক্ষে সাত জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, ঘটনার পর পুলিশ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর পুলিশ পাহারায় আবার ভোটগ্রহণ শুরু এবং শেষ হয়। তবে পুনরায় যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ১১১ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদের চার প্রার্থী হলেন, কামাল হোসেন রবি, জাহাঙ্গীর আলম, রজব আলী ও রফিকুল ইসলাম রফিক। আর সাধারণ সম্পাদক পদের তিন প্রার্থী হলেন, মমিনুল ইসলাম মমিন, মাহাতাব হোসেন চৌধুরী ও সাইরুল ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন