১৭ মার্চ, ২০২০ ১৬:৫৯

একের পর এক মামলায় জর্জরিত খুলনার সাংবাদিক দম্পতি

অনলাইন ডেস্ক

একের পর এক মামলায় জর্জরিত খুলনার সাংবাদিক দম্পতি

অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলনার কণ্ঠের সম্পাদক শেখ রানা, তার স্ত্রী ইশরাত ইভাও একজন সংবাদকর্মী। প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে অনলাইনটির কার্যক্রম। এরই মাঝে এই পোর্টালের মাধ্যমে শত্রুতাও শুরু হয়েছে খুলনার কিছু অসাধু ব্যক্তির সাথে। 

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তিন পর্বের তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে খুনলার কণ্ঠ অনলাইন পোর্টাল, সেইসাথে নিউজ তিনটি খুলনাসহ সারাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হতে থাকে। নিউজটিতে একটি ভিডিও রেকর্ডও সংযুক্ত করা হয়। তকদির হোসেন বাবু ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফের গং এর বিপক্ষে নিউজগুলো প্রকাশ হয়। বিভিন্ন অসহায় পরিবারকে ফাঁকি দিয়ে জমি কেড়ে নিতো আশরাফ গং চক্র। 

নিউজ প্রকাশের জের ধরে বাবুকে দিয়ে খালিশপুর থানায় একটি ৫৭ ধারায় মামলা করান আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ। অন্য কোনো এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি যুক্ত করে এই মামলা রুজু করা হয়। মামলায় আসামি করা হয় খুলনার কণ্ঠের সম্পাদক শেখ রানা ও সাংবাদিক ইশরাত ইভাকে। 

মামলায় বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এক মামলায় দুই চার্জশীট হয়। একটা চাঁদাবাজি ধারায় খুলনার আদালতে রাখা হয়, আরেকটি ৫৭ ধারায় ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। প্রায় ৪ বছর মামলা চলমান থাকায় ঢাকা থেকে খুলনা হাজিরা চলছে তাদের। 

এরই মাঝে নিউজে উল্লেখিত পরিবার ছাড়াও বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার পরিবার এক হয়ে খুলনা প্রেস ক্লাবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংবাদ সম্মেলন করে, সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ ও বাবু গং এর অত্যাচারের লোমহর্ষক বর্ণনা উল্লেখ করা হয়। খুলনাসহ সারাদেশেই সংবাদটি প্রচার হয়। 

এ বিষয়ে শেখ রানার স্ত্রী সাংবাদিক ইশরাত ইভা জানান, সংবাদ প্রকাশের জের ধরেই আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ আবারও এই সাংবাদিক দম্পত্তিকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি সুমনের মাদক ব্যবসা নিয়ে দুইটি নিউজ প্রকাশ হলে তাকে দিয়ে ও খুলনা জেলা ডিবির ওসি তোফায়েল আহমেদের যোগসাজশে সাতক্ষীরা ও খুলনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মাদক ও অপহরণ মামলা। 

অপহরণ মামলায় খুলনার কণ্ঠের সম্পাদক শেখ রানাকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায় সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা ও এসআই আসিফ। ইতোমধ্যে তারা এটা স্বীকার করে যে রিমান্ডে নেয়ার পর শেখ রানার কান থেকে ব্লিডিং হয়। 

তিনি আরও বলেন, গত ৪ই মার্চ সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালত থেকে তার জামিন হয়। জামিন হবার পরদিন বেল পিটিশন খুলনা জেলে আসার আগেই ভোর ৬টায় খুলনা জেল সুপার ও জেলার যোগসাজশে শেখ রানাকে পায়ে বেরি দিয়ে সাতক্ষীরা জেলে নিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে বিষয়টি জেনে ইশরাত ইভা জেল সুপারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জামিন হয়েছে জানতেন না, তাই অন্য জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ইশরাত ইভা অভিযোগ করেন জেল সুপার ও জেলার ইচ্ছা করেই রানাকে খুলনা জেল থেকে সাতক্ষীরা জেলে নিয়ে গেছে। এমনকি রবিবার (১৫ মার্চ) শেখ রানার সাথে দেখা করতে চাইলেও জেল সুপার তার স্বামীর সাথে দেখা করতে দেননি।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর