করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৫ হাজার ৩৬টি অসহায়, দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের উদ্যোগে ৩ হাজার ৪৩৭টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, পিয়াজ, আলু, সাবান ও লবন ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। এছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) অর্থায়নে পরিচালিত ডিএনসিসির “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের” আওতায় কড়াইল বস্তি ও তেজগাঁও সাত তলা বস্তিতে ১ হাজার ৩৭৩টি পরিবারের প্রত্যোককে চাল ১২ কেজি, আটা ৭ কেজি, চিনি ২ কেজি, তেল ২ লিটার, গুড়া দুধ ১ কেজি, সুজি ১/২কেজি, পিয়াজ ২ কেজি, আলু ২ কেজি, মসুর ডাল ২ কেজি, বুটের ডাল ১ কেজি করে বিতরণ করা হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৫ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ডিএনসিসির ১৫টি ওয়ার্ডে মোট ৪ লাখ ১৫ হাজার ৪১৫টি সাবান বিতরণ করা হয় এবং ২৩০টি স্থানে হাত ধোয়ার পয়েন্ট স্থাপন করা হয়। এছাড়া হটলাইনে কলের ভিত্তিতে ডিএনসিসি থেকে আজ ২৫টি পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
ডিএনসিসি এলাকায় ডিএনসিসি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, অন্যান্য জনপ্রতিনিধির উদ্যোগে আজ পর্যন্ত মোট ৯৯ হাজার ৫৪টি পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে ১৭ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ডিএনসিসির ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
প্রতিদিনের মতো আজও ১০টি ওয়াটার বাউজারের (পানির গাড়ি) সাহায্যে ১ লাখ ৫৪ হাজার লিটার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবাণুনাশক তরল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক, ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ, কোয়ারেন্টাইন্ড এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল ও উন্মুক্ত স্থানে ছিটানো হয়। আজ উত্তরা ৭, ১০ নং সেক্টর, মিরপুর-১, কাজীপুরা, গুদারাঘাট, মিরপুর সাড়ে ১১, পল্লবী, পুরবী হল, মিরপুর-১২, মিরপুর-২, মিরপুর-১৪, উত্তর কাফরুল, দক্ষিণ কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, টোলারবাগ, মোহাম্মদপুর, জেনেভা ক্যাম্প, জাকির হেসেন রোড, টাউনহল, বসিলা রোড, শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, গণভবন সংলগ্ন এলাকা, গুলশান, বারিধারা, বাড্ডা, বাংলা মটর, ইস্কাটন রোড, উত্তর বাড্ডা, মিরপুর ৮নং কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন বিভিন্ন সড়ক, মিরপুর-১৩ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।
ডিএনসিসির উদ্যোগে এ পর্যন্ত মোট ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক প্রায় ৫ কোটি ৩১ লাখ বর্গফুট এলাকায় ছিটানো হয়।
অহেতুক ঘর ছেড়ে বাইরে আসায় আজ উত্তরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল হালিমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ ব্যক্তিকে মোট ৬০০ টাকা জরিমানা করেন। আজও ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। তবে দণ্ড প্রদানের মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন