নারায়ণগঞ্জে পাঁচ শতাধিক নৌযান শ্রমিকদের মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ১১ মে সকালে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেন, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফয়সাল, প্রকৌশলী (পুর) জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক, নারায়ণগঞ্জ জেলা লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল প্রমুখ।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শেষে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে আমরা মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছি। এতে শ্রমিকরা যেমন কষ্টে আছে তেমনি মালিকদেরও বেতন দিতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করেছি বন্ধ থাকা যাত্রীবাহী লঞ্চ শ্রমিকদের কিছুটা সহযোগিতা করতে। নৌযান শ্রমিকদের জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। বন্ধ থাকা যাত্রীবাহী নৌযানগুলোর শ্রমিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। আশা করছি দশ হাজারের মতো নৌযান শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবে।
তিনি আরো জানান, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর থেকে চলাচলরত যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোরও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। নারায়ণগঞ্জে চলাচলকারী নৌযানগুলো ছোট নৌযান। এগুলোর কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। আমরা ইতিমধ্যে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারাও রাজী আছেন। আমরা খুব শীঘ্রই একটা পদ্ধতির মাধ্যমে আস্তে আস্তে বড় বড় লঞ্চ যেগুলো ঢাকার সদরঘাটসহ অন্যান্য লঞ্চঘাট থেকে চলাচল করে সেধরনের লঞ্চ চলাচলের উদ্যোগ নিব। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখেই আমরা এই উদ্যোগ নিব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল