ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বরিশাল পিবিআই’র চার্জশিটভুক্ত আসামি আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে এবার নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ঝালকাঠি জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা শরীফ বাদী হয়ে আক্কাসসহ তিনজনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা তাকে কুপ্রস্তাব ও খারাপ মন্তব্য করে আসছিল। গত ৩ আগস্ট সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল সদর রোডে সিটি কলেজ গলিতে বাদীকে দেখে পথ রোধ করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং মারধর করে। অপর আসামিরা হলেন, ঝালকাঠির জেলে পাড়া সড়কের মনির হোসেন ওরফে ব্লগার মনির এবং নেয়ামুল বাশার মনকা।
এর আগে বর্তমান সরকারের দুই মন্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করায় আক্কাসের বিরুদ্ধে গত ২৮ জুলাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝালকাঠি থানায় আরও একটি মামলা হয়। একই দিন জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্যের লিখিত প্রতিবাদ জানানো হয়।
এরপর থেকে আক্কাস সিকদার পলাতক। এদিকে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের এক জরুরি সভায় গত ১ আগস্ট সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে হওয়া এসব মামলার নিন্দা জানিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি ঝালকাঠি প্রেসক্লাব। ক্লাব সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সাংবাদিকদের জানান, আক্কাসের ব্যক্তিগত মন্তব্যের দায় সংগঠন নিবে না।
এছাড়াও আক্কাস সিকদার আইনজীবী পেশায় থাকায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় বাদী বিবাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনার অভিযোগ করা হয়েছে। ঝালকাঠির জনৈক সাংবাদিক জেলা আইনজীবী সমিতিতে এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা বারের সভাপতি।
এ বিষয়ে আক্কাস সিকদার বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকার বিরুদ্ধে এক নারীর চুল কেটে দেওয়া ও শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা সংশ্লিষ্ট সংবাদ করায় ওই নেত্রী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপরই আমার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। একটার বাদী সে নিজে এবং অপরটি তার সমর্থক। ৩ আগস্ট যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে সেদিন তো আমি বরিশালেই ছিলাম না। ঢাকা রয়েছি গত ৫ দিন যাবৎ। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে আমাকে।
বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হলেও শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি নুরুল ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
