জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। দেশসেরা হওয়ার স্বীকৃতি স্বরূপ পাওয়া সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে তুলে দেন কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ। গৌরবের অর্জনের জন্য সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ও স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেয়র।
রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য বিভাগ ইপিআই কার্যক্রমে পর পর ১০ বার প্রথম হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। তেমনি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে এ বছর রাজশাহী সিটি করপোরেশন দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ জন্য এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ওয়ার্ড সচিব, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, স্বাস্থ্য সহকারী এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মেয়র আরও বলেন, জন্ম নিবন্ধন শিশুর অধিকার। সুন্দর জীবন বিকাশের স্বার্থেই শিশুর প্রতি ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্র প্রত্যেকেই যত্নশীল। শিশুর পরিচয় ও অধিকার রক্ষায় তার বয়স নির্ধারণ জরুরী। শিশুর পরিচয়, বয়স, কখন কোথায় সে জন্মগ্রহণ করেছে, কে তার পিতা-মাতা ইত্যাদি প্রশ্ন আইনগতভাবে জিজ্ঞাসা ও সমাধানের জন্য প্রয়োজন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব বুঝেই বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করে যা চলমান। শিশুর জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গেই ওই শিশুকে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করার আইনগত অধিকার বর্জন করবে।
উল্লেখ্য, গতকাল ৬ অক্টোবর জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২১ উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছ থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্মাননা স্মারক ও সনদ গ্রহণ করেন রাসিকের সচিব মশিউর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর