যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নে টেঙ্গুরপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন আপন দুই ভাই। তারা হলেন টেঙ্গুরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আইয়ুব আলী (৬৫) ও ইউনুস আলী (৫৫)। একই ঘটনায় আশরাফুজ্জামান রনি (৩০) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেঙ্গুরপুর গ্রামের মহেশপুর সড়কে ‘সরদার ব্রিকস’ নামের ইটভাটার পাশে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শ্রমিক ঠিক করা নিয়ে ইউনুস আলীর সাথে প্রতিবেশী মুকুল হোসেনের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মুকুল ও তার অপর দুই ভাই বিপুল ও বিল্লাল গাছিদা ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ইউনুস আলী, আশরাফুজ্জামান ও তাদের ভাতিজা আশরাফুজ্জামানকে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ হাসপাতালের চিকিৎসক খন্দকার জুলকার ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে দুইজনের জখম ছিল খুবই গুরুতর। এ দুইজনের একজন হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মারা যান। অপরজন মারা যান হাসপাতালে পৌঁছার পরপরই। আহত আরও একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন নির্মম হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু বিচার চান। যশোর পুলিশের মুখপত্র ডিবি-ওসি রুপন কুমার জানান, দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। ঘটনার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তিন ভাই বিপুল, মুকুল ও বিল্লালের আক্রমনে ওই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো একটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার চৌগাছার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ চারজনকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন বিপুল খান (৪০), তার ভাই মুকুল খান (৩৫), বিপুলের স্ত্রী বিলকিস (৩৫) ও মা রিজিয়া বেগম।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ চারজনকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, নিহত দুই ভাইয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ/হিমেল